এদিকে নমুনা সংগ্রহ করে সোমবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকায় ফিরেছে ৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত একটি আউটব্রেক ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলটি গত পাঁচদিন ধরে কাজ করে।
এক সপ্তাহ আগে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আফতাবগঞ্জ মিয়াজী পাড়া গ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আফতাবগঞ্জ মিয়াজী পাড়ায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এতে একই পরিবারের দাদা বছর উদ্দিন (৭০), নাতনি নাছরিন বেগম (৭) এবং ২২ দিন বয়সের নাতি সুমন মিয়া মারা যায়।
উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএইচ এম বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে জানান, ১০ দিনের ব্যবধানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৩ জনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত এলাকায় উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এই ঘটনার পর বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে গ্রামটিতে ৬টি নলকূপ, ১৫টি স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি ঢাকা থেকে আসা ৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম পানি ও মল সংগ্রহ করে সোমবার বিকেলে ঢাকায় ফিরেছে। এগুলো পরীক্ষার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি যে বিশুদ্ধ পানি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে এ ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এফইএস/জেডএস