এ সংক্রান্ত একটি খসড়া মন্ত্রিসভায় তোলা হলে তা ফেরত পাঠিয়ে বলা হয়, যেহেতু উচ্চ আদালতে আইনটি বাতিল হয়েছে সেহেতু এটি আর মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের দরকার নেই।
এরশাদ সরকারের আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে আইন করা হয়।
মন্ত্রিসভা সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে জানতে চান এখন কেন এটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হলো? তখন শিক্ষামন্ত্রী জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়েছিলো সামরিক শাসনামলের যেসব আইন আদালতে বাতিল হয়েছে সেগুলো মন্ত্রিসভায় অনুমোদন নিতে হবে। সে কারণেই এটি তোলা হয়।
এ সময় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বৈঠকে বলেছেন, আদালত এটা বাতিল করেছে। উচ্চ আদালতে বাতিলের পর এটি বাতিল হয়ে গেছে। এর আর মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের প্রায়োজন নেই।
সূত্র আরও জানায়, আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে চান এর আগে আদালতে কোনো আইন বাতিলের পর তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন নেওয়া হয়েছে- এরকম কোনো রেফারেন্স আছে কিনা। তখন আইনমন্ত্রী জানান, আদালতে বাতিলের পর আর মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের প্রায়োজন নেই। আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর খসড়াটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত ২৫ ও ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কলকাতা সফর নিয়ে কথা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রসঙ্গটি তোলেন। সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার অথবা বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এসকে/এমজেএফ