সোমবার (২৮ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন অর্ডিন্যান্স-১৯৮৫ সংশোধন করে নতুন আইনে নিয়ে আসা হয়েছে।
**‘জাতীয় পাটনীতি-২০১৮’ এর খসড়ার অনুমোদন
**ডি.লিট পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
**ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় প্রত্যাহার
লাইসেন্স ছাড়া স্ট্যান্ডার্ড মার্ক (বাটখারা) ব্যবহার করলে আগের আইনে ৬ মাস জেল ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা থাকলেও এবার শাস্তি বেড়েছে অনধিক ২ বছর, আর অনাদায়ে জরিমানা রাখা হয়েছে অনধিক এক লাখ টাকা বা উভয় দণ্ড। তবে ২৫ হাজার টাকার নিচে নয়।
নিবন্ধন ছাড়া মার্ক ব্যবহার করলে বাজেয়াপ্ত করার আইনও রাখা হয়েছে খসড়ায়।
নিষিদ্ধ পণ্য রপ্তানি করলে আগের আইনে অর্থদণ্ডসহ এক বছর কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড ছিল। নতুন আইনে এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকার নিচে জরিমানা করা যাবে না।
কতিপয় পণ্য বিতরণ, বিক্রি, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন লঙ্ঘন করলে আগের আইনে চার বছরের শাস্তির সঙ্গে জরিমানা এক লাখ টাকার (কমপক্ষে সাত হাজার টাকা) পরিবর্তে নতুন আইনে চার বছরের শাস্তির সঙ্গে অনধিক দুই লাখ টাকা (৫০ হাজার টাকার নিচে নয়) জরিমানা বা উভয় দণ্ড রাখা হয়েছে।
এছাড়া (অপরাধ) আইনের কোনও ধারার আওতায় না এলে সেটি কমন ধারায় (অন্যান্য অপরাধ) বিচার করা যাবে। এজন্য অনধিক এক লাখ টাকা (২৫ হাজার টাকার নিচে নয়) জরিমানা করা হবে। আগে সেটি পাঁচ হাজার টাকার জরিমানা ছিল।
একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে দ্বিগুণ শাস্তি হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাধারণ অপরাধের বিচারগুলো সাধারণ আদালতে এবং দ্বিগুণ অপরাধের বিচার হবে দায়রা আদালতে।
আইনে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, আদেশ প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ফি দিয়ে আপিল করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এমআইএইচ/এইচএ/