শনিবার (২৭ মে) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে।
এদিকে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করে রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন জানায়, ৪ বছর আগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পুত্রবধূকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে না পেরে শাশুড়ি ও ননদসহ নন্দাই নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে শনিবার রাতে বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয়। এ ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ নন্দাইয়ের সহযোগিতা রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
ওই গৃহবধূ জানান, শনিবার রাতে তার স্বামীকে তিনজন ধরে নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠে বেঁধে রাখে। তারপর তাকে তুলে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভোরে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর শাশুড়ি ননদেরা এ বিষয়ে মুখ খুলতে শুধু বারণই করেন না, তাকে ঘরে আটকে রাখেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে সোমবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ছয়জন আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
আরএ