ব্রিজের উত্তর পাশের রেলিংয়ের প্রায় অর্ধেক অংশ ভেঙে পড়েছে। বয়সের কারণে ব্রিজটি অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে।
এদিকে বগুড়ার উত্তরের শেষ সীমানা শিবগঞ্জের রহবল। দক্ষিণের শেষপ্রান্ত সীমাবাড়ী। এলাকাজুড়ে রয়েছে ৬৫ কিলোমিটার ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক। ওদিকে আরও দক্ষিণে সিরাগঞ্জের চৌরাস্তা গোল চত্বর। যার দুরুত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। দু’টো অংশ মিলে মহাসড়কের দুরুত্ব দাঁড়ায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার।
মহাসড়কের এ দুরুত্বের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য মোড়। রয়েছে সরু বা বাঁকা ব্রিজ। এছাড়া ছোট-বড় খানা-খন্দের তো কোন ইয়ত্তা নেই। এসব খানা-খন্দকে ‘লাফিয়ে লাফিয়ে’ চলতে হয় যানবাহনগুলোকে।
তবুও সবমিলে বিগত যেকোন বছরের চেয়ে বর্তমানে মহাসড়কের এই ৯০ কিলোমিটারের অবস্থা অনেকখানি ভালোই বলা চলে। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতর সামনে রেখে কয়েক মাস ধরে বেহাল মহাসড়ক মেরামত করা হচ্ছে। কাজ এখনও অব্যাহত। মহাসড়কের যেসব স্থান এখনও বেহালদশায় ঈদের আগেই সেসব স্থানের মেরামত কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তা এবং স্থানীয় লোকজনের কথায় মহাসড়কের এমন চিত্র ওঠে আসে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাগঞ্জের চান্দাইকোন থেকে ষোল মাইল, বয়হাটি, ঘুগরা বেলতলা, বেলতলা বাজার, আমবাগান, সাহেবগঞ্জ, হাটিকুমরুলসহ বেশ কিছু এলাকায় মহাসড়ক খানা-খন্দে ভরে আছে। আবার অনেক স্থানে মহাসড়কের ওপর থেকে যেন ছাল বাকল উঠে গেছে। তবে মহাসড়কের এই ২৫ কিলোমিটার অংশের বেশির ভাগ অংশ এরইমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। আর যেসব স্থান এখনও মেরামত করা হয়নি তা ভয়ঙ্কর হয়ে আছে। সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ঈদুল ফিতরের আগেই মহাসড়কের বাকি অংশের মেরামত কাজ শেষ করা যাবে। এতে এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের অন্তত মহাসড়কের এই অংশ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
এদিকে বগুড়ার ৬৫ কিলোমিটার অংশের মধ্যে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার মহাসড়কের মেরামত কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে ১৬ কিলোমিটারের মত। কিন্তু মহাসড়কের মেরামত না হওয়া এসব স্থান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন মুহূর্তে এসব স্থানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান ঈদের আগেই মহাসড়কের বাকি অংশের মেরামত কাজ শেষ করার আশা ব্যক্ত করেন বাংলানিউজের কাছে।
মফিজ উদ্দিন, জয়নাল আবেদীনসহ বেশ কয়েকজন চালক বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়ক ভাল হলেও মোড় ও কিছু কিছু ব্রিজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থানে সতর্ক হয়ে যানবাহন না চালালে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে মুহূর্তেই।
তাদের ভাষায়, ‘একটু বেখেয়াল হলেই খবর আছে। সার্বক্ষণিক স্টিয়ারিং এদিক-ওদিক করতে হয়। তাতেও অনেক সময় লাভ হয় না। গর্তে চাকা পড়ে গাড়ি লাফিয়ে উঠতে থাকে’।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এমবিএইচ/জেডএস