তাদের অপারেশন থেকে শুরু করে যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহন করেছিল সরকার। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ও তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেছিল।
এবার সেই শিশু দু’টির ভালভাবে থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ দেওয়া হচ্ছে ঘর। এমন সুখবরটি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সুন্দরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়া।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশে শুরু থেকেই তোফা-তহুরার সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি। আমরা কিছুদিন আগে জানতে পারি, ঘর না থাকায় একটি ঘরের মধ্যে তোফা-তহুরা ও তাদের নানীর বাড়ির লোকজনের ঘুমাতে হয়। এতে তোফা-তহুরার রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। এজন্য আমরা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাদের ভালভাবে থাকার জন্য একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা অচিরেই জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেব।
এমন খবরে খুশি তোফা-তহুরার মা শাহিদা বেগম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সরকার শুরু থেকেই আমাদের পাশে ছিল। তা না হলে আমার মেয়েদের বাঁচাতে পারতাম না। ইউএনও আমার মেয়েদের জন্য একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাসে আমি খুশি। এখন তারা অন্তত ভালভাবে রাতে ঘুমাতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, তোফা-তুহুরার আরও দুটি অপারেশন করার পর তারা পুরোপুরি সুস্থ হবে। ঈদের পর ঢাকা মেডিকেলে তাদের একটি অপারেশন হবে। তিনি দেশবাসীর কাছে তোফা তুহুরার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন।
তোফা-তহুরার নানার বাড়ির কাশদহ গ্রামের বাসিন্দা মনজু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, তোফা তহুরার জন্যই আজ আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে। তাছাড়া হয়তবা আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ আসতে অনেক সময় লাগত। আমরা গ্রামবাসী তোফা-তহুরার সুস্থতা ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এসআইএস