কেননা হাসিল বেশি দিতে হলে সেই প্রভাব আসে মাংসের দামে। তাই মূলত মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণেই গাবতলী পশুর হাটে এই অভিযান।
সোমবার (২১ মে) এ অভিযান চালান ডিএনসিসি’র প্যানেলভুক্ত মেয়র জামাল মোস্তফা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা। মাংসের মূল্য স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশে পশু হাটের ইজারাদার যেনো অতিরিক্ত হাসিল আদায় করতে না পারেন তা মনিটরিং করার জন্য তাদের এ অভিযান।
এসময় গাবতলী পশুর হাটের ইজারাদার লুৎফর রহমানের পক্ষে তার ছেলে রাকিব ও গরু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে যেকোনো আকৃতির প্রতিটি মহিষ ১৫০, গরু ১০০ ও ভেড়ার ৫০ টাকা হাসিল। মাংস ব্যবসায়ী ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে হাসিলের পরিমাণ পশুর বিক্রয় মূল্যের সাড়ে ৩ শতাংশ। এছাড়া বর্তমানে ডিএনসিসি’র আওতাধীন এলাকায় সর্বমোট ৩১৫ জন তালিকাভুক্ত মাংস ব্যবসায়ী রয়েছেন।
গত ১৪ মে ডিএনসিসি’র মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি কেজি গরুর মাংস দেশি ৪৫০ ও বিদেশি ৪২০ টাকা, মহিষের মাংস ৪২০ টাকা, খাসির মাংস ৭২০ টাকা ও ভেড়ার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, মিরপুর ও পল্লবী এলাকায় মাংসের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য সরাসরি তদারকি করা হবে। এছাড়া ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার মাধ্যমে মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। ভোক্তারা যাতে নির্ধারিত মূল্যে মাংস কিনতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমাদের এই অভিযানও চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
এমআইএস/টিএ