সোমবার (২১ মে) ঢাকার ইউএনএইচসি আর অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুতুপালং শরণার্থী স্থাপনায় এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি)-এর সদস্য হিসেবে কর্মরত রোহিঙ্গা শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকরা মঙ্গলবার সেখানে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।
কুতুপালংয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে ‘হাতিদের দ্বন্দ্ব’ কমাতে বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এর যৌথ উদ্যোগে ইআরটি সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা আনুমানিক ৬ লাখ শরণার্থীকে স্থান করে দেওয়া উচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ এ শরণার্থী শিবিরের জায়গাটিতে এক সময় ঘন বন ছিল। এখন সেখানে হাজার হাজার অস্থায়ী শরণার্থীর বাসস্থান নির্মাণ ও সেবার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এ অঞ্চলটি এক সময় এশিয়ান বন্যহাতিদের মিয়ানমার ও বাংলাদেশে চলাচলের অন্যতম রাস্তা ছিল। এশিয়ান হাতিরা গুরুতরভাবে বিপন্ন একটি প্রজাতি, যাদের সংখ্যা আনুমানিক ২৬৮টি।
এটি ইউএনএইচসিআর ও আইইউসিএন-এর প্রকল্পের একটি অংশ যেখানে সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ হচ্ছে এবং কক্সবাজারে শরণার্থী শিবির স্থাপনের ফলে যে বিভিন্ন পরিবেশগত প্রভাবগুলো সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো কমিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে।
অন্য পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের মধ্যে বনসম্পদের গুরুত্ব, শরণার্থী শিবির, তৎসংলগ্ন এলাকায় পরিবেশের উন্নতির জন্য পরিবেশগত শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়ানো। প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ যাতে ভালোভাবে রক্ষা করা যায় এর জন্য বনায়নের ব্যাপারেও প্রচারণা চালানো হবে।
মঙ্গলবারের (২২ মে) অনুষ্ঠানে ৩৫০ জন এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) সদস্য ক্যাম্পের তিনটি ভিন্ন এলাকা থেকে এসে জড়ো হয়ে র্যালিতে অংশ নেবে। কুতুপালংয়ের ৫ নম্বর ক্যাম্প থেকে সকাল ১১টায় শুরু হবে র্যালি। শেষ হবে ৩ নম্বর ক্যাম্পে যেখানে রয়েছে হাতি দেখার জন্য নির্মিত বাঁশের টাওয়ার।
শরণার্থীদের তৈরি বিশাল আকারের বাঁশের হাতিও এই অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশ বন বিভাগ এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, ২১ মে, ২০১৮
টিআর/এএ