পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, সেতাবগঞ্জ (রংপুর), শ্যামপুর (রংপুর), জয়পুরহাট, রাজশাহী, নর্থবেঙ্গল, পাবনা, কুষ্টিয়া, কেরু অ্যান্ড কোং (চুয়াডাঙ্গা), মোবারকগঞ্জ (ঝিনাইদহ), ফরিদপুর, ঝিল বাংলা (জামালপুর) ও রংপুর সুগার মিলস লিমিটেডে বর্জ্য পরিশোধনাগারগুলো স্থাপন করা হবে।
বিএসএফআইসি সূত্র জানায়, এরইমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন করতে যাচ্ছে বিএসএফআইসি। বর্তমানে সরকারি খাতের ১৪টি চিনিকলে বার্ষিক গড় উৎপাদনক্ষমতা ২ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিক টন। চিনিকলগুলোতে চিনি উৎপাদনের পাশাপাশি উপজাত হিসেবে চিটাগুড়, প্রেসমাড ও ব্যাগাস উৎপাদিত হয়। এগুলো থেকে পরিবেশ দূষণকারী তরল বর্জ্য নির্গত হয়, যা অপরিশোধিত অবস্থায় নিকটবর্তী জমি বা জলাশয়ে জমা হয়। ফলে চিনিকল এলাকার জমি, জলাশয়, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়।
বিএসএফআইসি সচিব হারেছ আলী বাংলানিউজকে বলেন, গড়ে প্রতি মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ হাজার লিটার বর্জ্য নির্গত হয় চিনিকলগুলোতে। এই বর্জ্য পরিবেশ ও জমির ক্ষতি করে। ১৪টি চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপিত হলে পরিবেশ ও জমির ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুন্দর করতেই ১৪টি চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন করা হবে দ্রুত সময়ে।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
এমআইএস/জেডএস