শনিবার (১৯ মে) দুপুরে খনি গেটের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন- বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সভাপতি ওয়াজেদ আলী, খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বুলবুল, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভাপতি রবিউল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, মঙ্গলবার (১৫ মে) শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালিন বিনা উসকানিতে শ্রমিকদের ওপর হামলা করে খনির কর্মকর্তারা। এখন এর দায় শ্রমিকদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে তারা। এছাড়া নানা রকম মিথ্যাচার করছে খনি কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কোনো সমঝোতা বৈঠকে বসবে না শ্রমিকরা।
এর আগে একটি বিক্ষোভ-মিছিল খনি এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে রোববার (১৩ মে) সকাল থেকে খনি গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে খনি শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করে আসছে।
মঙ্গলবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে দিনাজপুর ও ফুলবাড়ীতে বসবাসকারী খনির কয়েকজন কর্মকর্তা খনিতে প্রবেশ করতে গেলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা বাধা দেয়। এতে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে খনির নয় কর্মকর্তা, পাঁচ শ্রমিক ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন গুরুত্বর আহত হয়। এর আগের দিন সোমবার (১৩ মে) শ্রমিকদের হামলায় এক খনি কর্মচারী আহত হয়।
এ দু’টি ঘটনায় খনির ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান বাদী হয়ে শ্রমিক কর্মচারী
ইউনিয়ন সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সভাপতি
ওয়াজেদ আলী, খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান
বুলবুল, মিজানুর রহমানসহ ৪০ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০ জনসহ ১১০ জনকে
আসামি করে বুধবার (১৬ মে) পার্বতীপুর মডেল থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন।
** আন্দোলনের মুখে অচল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এসআরএস