ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনার ইফতারে শীর্ষে নানার হালিম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
খুলনার ইফতারে শীর্ষে নানার হালিম নানার হালিম কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: মানজারুল ইসলাম

খুলনা: নানার হালিমের ঘ্রাণ ও স্বাদ সত্যিই অতুলনীয়। যে কারণে প্রতি রমজানে এখান থেকেই হালিম নিয়ে থাকি।

শনিবার (১৯ মে) বিকেলে খুলনা মহানগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের সামনে ‘নানার হালিম’ কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাড়ি বাগেরহাটে।

ব্যবসায়ীক কাজে প্রতি সপ্তাহে খুলনায় আসি। আজও সে কারণেই এসেছি। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রমজানে নানার হালিম কিনেছি। আমি একদিন বেশি করে নিয়ে ফ্রিজে রেখে সারা সপ্তাহ গরম করে খাই এ হালিমটি।

নগরীর মৌলভীপাড়া থেকে নানার হালিম কিনতে আসা গৃহিনী মিনা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই এখানের হালিম না হলে ইফতারিতে যেনো তৃপ্তি মেটে না। রান্নার কলাকৌশল ও বৈচিত্র্যময় স্বাদের কারণে নানার হালিম বেশ জনপ্রিয়। নানার হালিম।  ছবি: মানজারুল ইসলামশহিদুল ও মিনার মতো ভোজনরসিক মানুষের খাবারের তালিকায় নানার হালিম একটি বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। বাহারি ইফতারে এ হালিম না থাকলে যেনো পূর্ণতা আসে না। তাই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় করছেন কলেজের সামনের এ নানার হালিমের অস্থায়ী দোকানে।

ক্রেতাদের সবার এক কথা, নানার হালিম খুলনার বিখ্যাত ইফতার আইটেম।

নানার হালিমের মালিকের নাম হজরত আলী দফাদার (৭৪)। তার এ নাম প্রায় হারিয়েই গেছে নানা সম্বোধনের আড়ালে! সবাই তাকে ডাকেন নানা নামেই। নানার হালিমের ডেকচি।  ছবি: মানজারুল ইসলামইফতারিতে মিষ্টি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি ঝাল খাবার হিসেবে নানার হালিমের জুড়ি নেই বলে প্রতিবারের ন্যায় এবারও খুলনার বিখ্যাত নানার হালিমের দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

১৯৯৩ সাল থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে হালিম বিক্রি করছেন হজরত আলী। নামে তাকে কেউ না চিনলেও সবাই তাকে নানা হিসেবে চেনেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রোজাদারদের তৃপ্ত করতে ২৫ বছর ধরে হালিম রান্না করি। হয়তো এ কারণেই মানুষের কাছে আমার হালিম প্রিয়। হালিমের নেওয়ার সানকি।  ছবি: মানজারুল ইসলামদাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাটির সানকিতে ১০০ টাকা, ১৫০ টাকা, ২০০ টাকা, ৩০০ টাকা, ৬০০ টাকা ও ৮০০ টাকা দাম এ হালিমের।

ভেজালমুক্ত ও মান ভালো হওয়ার কারণেই হালিমের চাহিদা বেশি বলে দাবি করলেন তিনি।

নানার হালিমের কর্মচারী হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন ৭০-৮০ কেজি ডাল ও ৮০ কেজি মাংস দিয়ে ছয় ডেকচি হালিম তৈরি করা হয়। নানার নেতৃত্বে ১১ জন কর্মচারী কাজ করেন এখানে। বেচা-বিক্রি ভালো বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এমআরএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।