ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধানের ফলন নিয়ে চিন্তিত সাটুরিয়ার চাষিরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
ধানের ফলন নিয়ে চিন্তিত সাটুরিয়ার চাষিরা শিলাবৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: অনুকূল আবহাওয়া আর উত্তম পরিচর্যায় প্রতিবছর ধানের ফলন ভালো হলেও এবারের ফলন নিয়ে বেশ চিন্তিত রয়েছেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধান চাষিরা। 

ধানের চারা বপনের পর থেকে চলমান বিরুপ আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের ফলন কম হবে বলে জানান একাধিক ধান চাষিরা।

ধানের চারা বপনের পর ধানগাছে ছড়া আসার পর ঝড়ে সেই ছড়া থেকে ফুল পড়ে যাওয়ায় ধানের ফলন কম হবে বলে মন্তব্য করেন অনেক চাষি।

আবার ধানের ছড়া থেকে ধান আসার সময় শিলাবৃষ্টিতেও ক্ষতি হয়েছে অনেক চাষির ধানের জমি। এছাড়া আবার বিভিন্ন এলাকার নিচু জমির ধান ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণেও ধানের ফলন নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন অনেক কৃষক।

সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা এলাকার মৃত আদালত খানের ছেলে আব্দুস সালাম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ৭০ ডিসেমল জমিতে ধানের আবাদ করেছেন তিনি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সারাবছর খাবারের চালের একমাত্র উৎস্য ওই জমির ধান। প্রতি ডিসেমল জমিতে প্রায় ৩০ কেজি করে ধানের ফলন হলেও এবার ২২ থেকে ২৫ কেজির বেশি ফলন হবে না বলে জানান তিনি।

ধানগাছে ধানের ছড়া আসার পরপরই ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাপক ধানের ক্ষতি হয়। এতে করে ওই ছড়াগুলোর ধান লালচে রং ধারণ করে। সেই ছড়ার সব ধানই চিটা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এতে করে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের ফলন কিছুটা কম হবে বলে জানান ধান চাষি সালাম মিয়া।

আব্দুল আজিজ নামে একই এলাকার আরেক চাষি জানান, যে সমস্ত চাষিরা ধানের চারা দেরিতে জমিতে বপন করেছেন তারা বেশি পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ ওই সমস্ত জমির ধান গাছে ফলন আসার সময় বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে। যে কারণে তারাও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। শিলাবৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  ছবি: বাংলানিউজউপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের দোতরা এলাকার চাষি আব্দুল ফজল মিয়া জানান, জমিতে ধানের চারা আগাম বপন করেছিলেন তিনি। ফলনও মোটামুটি ভালো হয়েছে। কিন্তু ধানক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় ধানগুলো মাটিতে হেলে পড়েছে। ওই ধানগুলো সংগ্রহে বেশি পরিমাণে কৃষি শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। কৃষি শ্রমিকের বাজারদরও অনেক চড়া। এতে করে বেশ বিপাকে রয়েছেন তিনি।

সাটুরিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, সাটুরিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ঝড়বৃষ্টিতে ধানের ফলন কিছুটা কম হতে পারে। তবে ধানের ছড়ার রং লালচে হওয়ার বিষয়ে কোনো কৃষক অভিযোগ না করার কারণে ওই বিষয়টি সম্পর্কে তার ধারণা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
কেএসএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।