সংবাদ সম্মেলনে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কর্মকর্তা
পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভেতরে পাঁচদিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারে শিশুখাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে খনির ভেতরে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদ এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হাবিব উদ্দিন আহমদ বলেন, বিদেশি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি’র অধীনে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন প্রায় তিনগুন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
একজন খনি শ্রমিক আগে যেখানে সর্বনিম্ন ৮ হাজার ৮৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৬৪০ টাকা মাসিক বেতন পেতেন, সেখানে এখন পাচ্ছেন যথাক্রমে ২৩ হাজার ৫৫ টাকা এবং ৪১ হাজার ২৭৬ টাকা। পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটিসহ বছরে ৭৮ দিন ছুটি পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিফট অ্যালাউন্স, পরিবেশ অ্যালাউন্স, উৎপাদন ভাতা, ইন্সটলেশন ও স্যালভেজ বোনাস, দুটি উৎসব ভাতা এবং অধিকাল ভাতা পান। সর্বসাকুল্যে একজন শ্রমিক সর্বোচ্চ ৪১ হাজার ৭৫৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২৩ হাজার ৫৫ টাকা মাসিক বেতন পাচ্ছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি শ্রমিকদের দাবিগুলো অযৌক্তিক বলে মানতে নারাজ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মহাব্যবস্থাপক (প্লানিং অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশন) এবিএম কামরুজ্জামন, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও কোম্পানি সচিব আবুল কাশেম প্রধানীয়া, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক (সারফেজ অপারেশন) সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে রোববার (১৩ মে) সকাল থেকে খনি গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে খনি শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করে আসছেন। শ্রমিকরা খনির ভেতরে কাউকে প্রবেশ ও বের হতে না দেওয়ায় সেখানে প্রায় দেড় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবার পরিজন নিয়ে পাঁচদিন ধরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এনটি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।