ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রতারণা-আত্মসাৎ মামলায় রাগিব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
প্রতারণা-আত্মসাৎ মামলায় রাগিব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

সিলেট: প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রবাসীর টাকা আত্মসাৎ মামলায় আলোচিত শিল্পপতি রাগিব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান সিদ্দিকী অভিযোগ গঠন করেন।

আদালত সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আখলাকুর রহমান গুলজারের কাছ থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি অনুমানিক ২ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা) আত্মসাৎ করায় রাগিব আলীর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।

 

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৩ এপ্রিল সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে (সিআর মামলা নম্বর: ৪৭৭/১৭) এ মামলাটি দায়ের করেন মামলার বাদী নাবিদা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান গুলজার।  

ফাউন্ডেশনের অনুকূলে বিগত ২০০৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সাউথ-ইস্ট ব্যাংকের মঞ্জুরিপত্র মূলে তিন কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়।  

তিন কিস্তিতে মঞ্জুরি করা ঋণের মধ্যে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে ফাউন্ডেশন। নাবিদা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের বেশির ভাগ পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডার যুক্তরাজ্য প্রবাসী।  

রাগিব আলী মালিকানাধীন দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকায় সাউথ-ইস্ট ব্যাংকে বন্ধক সম্পত্তির নিলাম বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়।  

রাগিব আলীর সঙ্গে বাদীর পারিবারিকভাবে পূর্ব পরিচিতি থাকায় ও রাগিব আলী সাউথ-ইস্ট ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে তার সঙ্গে টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওনার সঙ্গে যদি যোগাযোগ করে লন্ডনে লেনদেন শেষ না করা হয় তাহলে সম্পত্তি নিলাম হয়ে যাবে।

তার কথায় বাদী অন্য শেয়ার হোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাগিব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লেনদেন শেষ করা হবে।  

এক পর্যায়ে রাগিব আলীও সঙ্গে শেয়ার হোল্ডারদের সমঝোতা হয়।  

সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে তার কথামত তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে এবং সবশেষ বিগত ২০০৯ সালের ৩০ মে পর্যন্ত ২ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ২ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনেক কষ্টে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ধার করে নগদ দেন।

রাগিব আলীর নির্দেশ ও পরামর্শ অনুযায়ী ২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর সুদ মওকুফের জন্য আবেদন করেন।  

এরপর তিনি জানতে পারেন, রাগিব আলী প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

শুনানির সময় আদালতে বাদী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী কল্যাণ চৌধুরী ও প্রদীপ ভট্টাচার্য।  

আইনজীবী বিমলেন্দু মিত্র তপন, ফেরদৌস আরা বেগম জেনি ও মামলাটির ফাইলিং আইনজীবী মোহাম্মদ আলী (২) এবং  রাগীব আলীর পক্ষে আইনজীবী মঈনুল ইসলাম ও শাহ মশাহিদ আলী শুনানিতে অংশ নেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এনইউ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।