বৃহস্পতিবার (১৭ মে) দুপুরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের কুকুরে কামড়ানো প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফোরকান শিকারী বাংলানিউজকে বলেন, চাকুলি গ্রামের বেল্লাল শেখ তার গরুর দুধ ওই গ্রামের প্রায় ১০টি পরিবারের কাছে সরবরাহ করেন। ওই ১০টি পরিবারে সদস্য সংখ্যা ১০০ জনের উপরে। কয়েকদিন আগে ওই গরুটিকে কুকুরে কামড়ালে গরুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারা না জেনে ওই গরুর দুধ পান করতে থাকেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হলে ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা জলাতঙ্ক হতে পারে বলে আতঙ্কিত হয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায়।
গরুর মালিক বেল্লাল শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আমার এই গাভীর দুধ চাকুলি গ্রামের দশটি পরিবারকে দিয়ে থাকি। বুধবার গুরুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমি প্রাণি চিকিৎসককে দেখাই। তিনি গরুটি দেখে বলে কুকুরে কামড়েছে। তবে কবে কখন গুরুটিকে কুকুরে কামড়েছে তা তিনি বলতে পারেননি। বুধবারও আমি এই গরুর দুধ আমার যোগানদাতাদের মধ্যে সরবরাহ করি। আমি নিজেও ভ্যাকসিন নিয়েছি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কুকুরে কামড়ানো গরুর দুধ পান করে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কায় ৯০ জন হাসপাতালে আসে। আমরা তাদের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন দিয়েছি। এরা এখন আশঙ্কামুক্ত। এক মাসের মধ্যে চারটি ভ্যাকসিন নিলেই তারা পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে যাবেন।
এরঅাগে, বুধবার (১৬ মে) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সকাল পর্যন্ত বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ও মির্জাপুর গ্রামে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে ৩০ জন আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এনটি