বুধবার (১৬ মে) ইতি খাতুন ও জিল্লুর রহমান, হাওয়া খাতুন ও সুজন আলী এবং উরুফা খাতুন ও রুহুল আমিন রিন্টুর বিয়ে দেয় কুষ্টিয়া সমাজসেবা অধিদপ্তর।
দুপুর দেড়টায় বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৫টায়।
এক এক করে বিয়ের গাড়ি যখন কুষ্টিয়া সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের গেটে এসে পৌঁছায়, তখন জেলা প্রশাসন ও কুষ্টিয়া সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বরকে বরণ করেন নিয়ে আসেন বিয়ের অনুষ্ঠানে।
ইতি, হাওয়া ও উরুফার বয়স ১৮ বছর পেরিয়েছে। থাকেন কুষ্টিয়া সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে।
প্রশাসন সূত্র জানায়, উরুফা খাতুনকে পাঁচ বছর আগে যশোরের আহসানিয়া মিশন থেকে এ কেন্দ্রে আনা হয়। তিনি নাম বলতে পারেন। তবে মা-বাবার নাম বা বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেন না। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় মৃত সাজদী গায়েনের ছেলে রুহুল আমিনের সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হলো। রুহুল ঢাকায় রিকশা চালান। ছয় বছর আগে এ কেন্দ্রে আরও একটি মেয়ের বিয়ে হয়েছিল নওয়াপাড়ায়। তার সূত্র ধরেই রুহুল আমিনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হলো তাকে।
হাওয়া খাতুনকেও পাঁচ বছর আগে যশোর আহসানিয়া মিশন থেকে এ কেন্দ্রে আনা হয়। তিনি বাকপ্রতিবন্ধী। তবে অল্প সল্প লিখতে পারেন। কিন্তু বাড়ির ঠিকানা জানেন না। কেন্দ্রের এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক সুজন আলীর সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়া হলো।
ইতি খাতুনকে দেড় বছর আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পাওয়া যায়। সেখানে এক নারী কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশের মাধ্যমে তাকে এ কেন্দ্রে আনা হয়। ইতি খাতুন তেমন কথা বলতে পারেন না। তবে ইশারায় সব জানাতে পারেন। কিন্তু বাড়ির ঠিকানা জানাতে পারেননি। সম্প্রতি খোকসা উপজেলার শোমসপুর গ্রামের শাহাদত শেখের স্ত্রীর আগ্রহে মেয়েটিকে তার ছেলে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হলো। জিল্লুর এলাকায় ভ্যান চালান।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক জহির রায়হান বলেন, একটি মেয়ের বিয়েতে পরিবারের সদস্যরা যেভাবে থাকে, ঠিক একই ভাবে তিন মেয়ের পাশে থেকেছে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বিয়েতে একেকজন বরের সঙ্গে ১৫ জন করে যাত্রী আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
এসআই