সাথী খাতুন ঝিনাইদহ সদরের মৃত মীর আবুল বাসারের মেয়ে।
বুধবার (১৬ মে) দুপুরে ‘রাজশাহী মডেল হাসপাতাল’ নামের একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মা রাবেয়া খাতুন জানান, তার তিন মেয়ের মধ্যে সাথী ছোট। সম্প্রতি তার বিয়ে হয়েছে। তার চর্মরোগ ছিলো। পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও রয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়েছিল।
রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, বুধবার সকালে চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য সাথীকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি হয়। তার সঙ্গে তার মাও ছিলেন। সে ওই ক্লিনিকের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মিজানুর রহমানের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলো।
টয়লেটে যাওয়ার নাম করে দুপুরে হঠাৎ করেই ক্লিনিকের ৫ তলার ছাদে উঠে সে। সেখান থেকে লাফ দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় সে। তাৎক্ষণিক আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রামেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/