মঙ্গলবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরের ১১ নম্বর পণ্যগারের টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশ এসব বোমা উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ জানায়, বন্দরের পরিচালক তাদের ফোন করে জানান, বন্দরের ১১ নম্বর পণ্যগারের টয়লেটের মধ্যে কে বা কারা অনেকগুলো হাতবোমা রেখেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০টি তাজা হাতবোমা উদ্ধার করে। ৩টি হাত ব্যাগে বোমাগুলো টয়লেটে রেখে অনেক দিন ধরে তালা মেরে রাখা হয়েছিল। বন্দরে টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উত্তেজনায় বোমাগুলো দুর্বত্তরা সেখানে রাখাতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
বাংলাদেশ স্থল বন্দর এমপ্লোয়িজ ইউনিয়নের সহ সভাপতি মনির মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বন্দরে কর্মরত কর্মচারী ও সাধারণ শ্রমিকরা আতঙ্কে রয়েছেন।
এদিকে বন্দরের অভ্যন্তরে তিনটি নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকশ’ সদস্যদের সার্বক্ষণিক কড়া নজরদারির মধ্যে কিভাবে বন্দরের ব্যবহৃত একটি টয়লেটে অনেক দিন ধরে তালা মেরে বোমা রাখা হয় তা রহস্যজনক। ভালোভাবে তদন্ত করলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তরা ধরা পড়বে। বিষয়টি যেমন মানুষের জন্য হুমকি, তেমনি বন্দর পণ্যগারে থাকা আমদানিকারকদের হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্যের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন আসছে।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এহসান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে জানান, কারা সেখানে বোমা রাখতে পারে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, খুব দ্রুত দুর্বৃত্তরা ধরা পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এজেডএইচ/আরবি