ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুস্তাফা নূরউলের প্রয়াণে নাগরিক শোকসভা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
মুস্তাফা নূরউলের প্রয়াণে নাগরিক শোকসভা শোকসভায় ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেছেন, মুস্তাফা নূরউল ইসলামের জীবন বর্ণাঢ্য। তিনি শিক্ষকতা, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, সাময়িকপত্র সম্পাদনা, গবেষণা এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি এক সময়ে নাট্যান্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। তার ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল অসাধারণ রসবোধের গুণ। এদেশের প্রগতিশীল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অভিযাত্রায় মুস্তাফা নূরউল ইসলামের অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সোমবার (১৪ মে) বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামের প্রয়াণে নাগরিক শোকসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নাগরিক শোকসভার শুরুতেই মুস্তাফা নূরউল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রবীন্দ্র সংগীত নিবেদন করেন শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী।

সংগীত শেষে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় মুস্তাফা নূরউল ইসলামের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা এবং স্মৃতিচারণায় অংশ নেন ভাষাসংগ্রামী প্রতিভা মুৎসুদ্দী, ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির সভাপতি ড. আবুল আজাদসহ বিশিষ্ট জনেরা।

শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন মুস্তাফা নূরউল ইসলামের কন্যা নন্দিতা ইয়াসমিন, জ্যেষ্ঠপুত্র মুস্তাফা কায়েস ইমন, ভাগ্নি শামীম শবনম দীপ্তিসহ অন্যরা।

ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাষা আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা মুস্তাফা নূরউল ইসলাম এদেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রামের এক অগ্রণী মানুষ, কালের সাক্ষী। তিনি ছিলেন বাংলা ও বাঙালিত্বের পূজারী। সাময়িকপত্র গবেষণা, নজরুল গবেষণা এবং বাঙালি মুসলিম-মানুষের আধুনিকায়ন বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম আমাদের সাহিত্যক্ষেত্রে যোগ করেছে বুদ্ধিবৃত্তিকতার নবতর মাত্রা।  

অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামের শিক্ষার্থীরা বলেন, কয়েক প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের কাছে একজন প্রিয় ও সফল শিক্ষকের নাম মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে তিনি প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন।

তার পরিবারের সদস্যরা বলেন, পরিবারের সদস্য হিসেবে সব স্বজনকে তিনি সৎ জীবনযাপনের শিক্ষা দিয়ে গেছেন।

মুস্তাফা নূরউল ইসলামের জীবন কেবল সময়ের দিক থেকে দীর্ঘ নয়; উল্লেখযোগ্য কর্মের অর্জনেও বিশিষ্ট। তরুণ বয়সে তিনি এবং তার সমসাময়িক লেখক বন্ধুরা যেমন পত্রিকার মাধ্যমে সমকালীন নানা অসঙ্গতিকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে বিদ্ধ করেছেন, তেমনি পরবর্তীকালে পূর্বমেঘ এবং সুন্দরম পত্রিকা সম্পাদনার মধ্য দিয়ে সাময়িকপত্র সম্পাদনায় তার দক্ষতার নিদর্শন রেখে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এইচএমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।