রোববার (১৩ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। রেশমা ওই গ্রামের নুর ইসলাম শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেশমা জানান, লেবাননে থাকাকালীন সময়ে মোবাইলে ফোনে কথা হতো প্রতিবেশী নুর ইসলামের সঙ্গে। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে যায়। দেশে ফিরে গত ৫ মাস আগে নুর’র সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার প্রথম স্ত্রী আকলিমা ও তার ছেলে আল আমিন পারিবারিকভাবে সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লাগিয়ে রাখতো। সকালে ছেলে আল আমিন আচমকা ধারালো দা দিয়ে দুই হাত কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নুর ইসলাম বলেন, প্রথম ঘরে তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে আল আমিন সবার বড়। আমি দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলে শুরু থেকেই ক্ষিপ্ত ছিল। আমার দুই পরিবার পাশাপাশি দুই বাড়িতে থাকে। আমি কৃষি কাজ করে হলেও সবার ভরণ-পোষণ চালিয়ে আসছিলাম। তবুও ছেলে তার দ্বিতীয় মাকে মেনে নিতে না পারায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় কোনো অভিযোগ করতে পারিনি।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অনাদি রঞ্জন মন্ডল বাংলানিউজকে বলেন, রেশমার বাম হাত কজ্বির উপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ডান হাতেও মারাত্মক জখম রয়েছে। এছাড়া দুই পা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম রয়েছে। রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
আরআইএস/