আটককৃত সোহাগ বাকেরগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা আ. মজিদ সরদারের ছেলে।
সোমবার (১৪ মে) দুপুরে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মিরাজকে আটকের পূর্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১২ নম্বর রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের মৃত মো. হাসেম মুসল্লির ছেলে মিনজু (৪৫) ও বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন হাওলাদারে ছেলে বেল্লালকে (২৫) আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসা সুপারের মাথায় মানুষের মল ঢেলে লাঞ্ছিত করার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। খবরটি জানার পর থেকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে ভিডিও টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও চিত্রের বাহিরে পুরো ঘটনার সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন জড়িত। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে। অন্যদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান এসপি সাইফুল।
এর আগে, শুক্রবার (১১ মে) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে কাঠালিয়া গ্রামের কাঠালিয়া ইসলামিয়া দারুচ্ছুন্নাৎ দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সুপার মাও. মো. আবু হানিফকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছনা করে তার ভিডিও ধারণ করা হয়।
এরপর মাদ্রাসা সুপার হানিফ বাদী হয়ে নিজের ছোটভাই জাকারিয়া হোসেন জাকিরসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এমএস/আরআইএস/