ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সেবায় আস্থা অর্জন, লক্ষ্য চোরাচালান রোধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
সেবায় আস্থা অর্জন, লক্ষ্য চোরাচালান রোধ

ঢাকা: দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার অন্যতম প্রধান সমস্যা চোরাচালান। বিভিন্ন অপরাধের পাশাপাশি সীমান্ত হত্যার মতো ঘটনার জন্য চোরাচালানকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুধুমাত্র সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একক চেষ্টায় চোরাচালান রোধ করা সম্ভব নয়। আর তাই সীমান্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমান্ত এলাকার মানুষের জন্য বিনামূল্যে যৌথ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।

শনিবার (১২ মে) সিলেটের তামাবিল সীমান্তে এ যৌথ মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। এদিন দুই দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সীমান্তবর্তী এলাকার সুবিধাবঞ্চিত ৫০০ মানুষকে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন, সরবরাহ করেছেন প্রয়োজনীয় ওষুধ।

আগের দিন শুক্রবার (১১ মে) তামাবিল সীমান্তের ওপারে ভারতের ডাউকিতে ৩০০ জনকে এ সেবা দেওয়া হয়।

একদিনের এ সেবায় বিজিবির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন সীমান্তের দরিদ্র মানুষগুলো। তাইতো শুধু একদিনের জন্য নয়, এমন সেবা কার্যক্রম নিয়মিত চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় পাথর শ্রমিক নাজিম উদ্দিন দুই বছরের ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদের সমস্যা নেই, কিন্তু যারা দরিদ্র তারা চাইলেই ভালো চিকিৎসা পান না। এলাকার হাতুড়ে ডাক্তার বা স্থানীয় বাজারের কিছু ফার্মেসির ওপরই নির্ভর করতে হয় তাদের।

এ সুবিধার জন্য বিজিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিয়মিত এমন সুবিধা পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিএসএফ-৩০ শিলং এর কমান্ডেন্ট সাইফুর রহমান খান বলেন, সীমান্ত এলাকার কমিউনিটির সঙ্গে আমাদের একটা গ্যাপ রয়েছে। এমন উদ্যোগ কমিউনিটির সঙ্গে আমাদের একটা সেতুবন্ধন সৃষ্টি করবে।

বিজিবি সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল নাসির বলেন, সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালান, নারী-শিশু পাচারসহ বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যদি স্থানীয়রা এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী না হয় তাহলে শুধুমাত্র বিজিবি দিয়ে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বিজিবি-বিএসএফ'র ওপর তারা বিশ্বাস রাখতে না পারলে যে কেউ অপকর্ম করার সুযোগ পাবে।

ইয়াবা-মদ, পাথর, গরুসহ বিভিন্ন পাচারের তথ্য স্থানীয়দের কাছে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন স্থানীয়রা যদি আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখে তাহলে আমরা যে কোনো তথ্য পাবো। এ সেবার মাধ্যমে স্থানীয়দের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন সম্ভব বলে আমরা মনে করি। তাহলেই যে কোনো ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধ সম্ভব হবে।

সীমান্ত এলাকার মানুষদের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি গত ২৩-২৭ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের তামাবিল ও ভারতের ডাউকি সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ সমন্বিতভাবে বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসা সেবা দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
পিএম/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।