ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিজিটাল দেশের জন্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ছিল অপরিহার্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
ডিজিটাল দেশের জন্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ছিল অপরিহার্য

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ অপরিহার্য ছিল বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে দেশ সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করলো বাংলাদেশ।

মহাকাশে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ উপলক্ষে শনিবার (১২ মে) এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।

মহাকাশে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দিনটি জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের। এখন থেকে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য।

আজকের এই গৌরবময় মুহূর্তে, আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগের জন্য ১৯৭৫ সালে রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মতো সাহসী উদ্যোগ আর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তার নেতৃত্বে সরকার একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।  

তিনি বলেন, ইন্টারনেটসেবা নিশ্চিত ও সহজলভ্য করতে ক্যাবলের পাশাপাশি স্যাটেলাইটসেবা সংযোজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের ফলে দেশের ব্রডকাস্টিং ও টেলিযোগাযোগ সেক্টরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। পাশাপাশি ব্রডকাস্টিং ও টেলিকমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে আমরা পরনির্ভরশীলতা পরিহার করে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হবো।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
এমএ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।