শনিবার (১২ মে) আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মুগদায় ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড নার্সিং এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে’র (এনআইএএনইআর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ অত্যন্ত সফলভাবে হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলেই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পেরেছে। আর সরকার গঠন করে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করেছে। আর সেই কাজের ফলেই আমরা বাংলাদেশকে আজকে মহাকাশ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।
‘এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুধু যে বিনোদন মাধ্যম উন্নত হবে তা নয়, এটি আমাদের সার্বিকভাবে কাজে লাগবে। এই স্যাটেলাইট বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণ ব্যবহার করতে পারবে। দেশের শিক্ষা, বিনোদন, চিকিৎসাসেবা, এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে বিভিন্নক্ষেত্রে দেশবাসী এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবো। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এখন বাংলাদেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল, পাহাড়ি অঞ্চল, চরাঞ্চল ও দ্বীপাঞ্চল থেকে শুরু করে গোটা দেশে সেবা পৌঁছে দিতে পারব। সেইসঙ্গে বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশকে এখান থেকে কিছুটা স্পেস ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করার সুযোগ আছে।
এ সময় দেশে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগ নির্ণয়ের আধুনিক যন্ত্রপাতি পরিচালনায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রোগ নির্ণয়ের ব্যাপারে কোথায় যেন একটা বিরাট ভুল হয়ে যায়। এখনকার যন্ত্রপাতি অনেক উন্নত হলেও সেগুলো পরিচালনার জন্য দক্ষ লোকের অভাব রয়েছে।
‘কারো রোগ হলেই তাকে দৌঁড়াতে হবে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড, ভারত, কেন? এই প্রশ্নটাই বারবার আমার মনে জাগে। এই বিষয়টা সুরাহা হওয়া অবশ্যই দরকার। ’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, কোইকা সহ-সভাপতি কিয়াংগুন সুল এবং কোইকার সাউথ এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর মহাপরিচালক ইয়ো ইয়ং কিং প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
এসকে/এমএইচটি