এ ঘটনায় শনিবার (১২ মে) বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহাবুবুল আলম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনার পর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ফুলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাকিম বাংলানিউজকে জানান, গত বুধবার (৯ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী আমাকে এবং আমার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুল হাসান টিটুকে খুন করার উদ্দেশে বাড়িতে হামলা করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমার বসত ঘরসহ বাজারের ৭টি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।
পুলিশ জানায়, কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা সাদেক খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় ৬ মাস আগে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলের ছেলে এরশাদ উল্লাহ লিমনকে কুপিয়ে জখম করে নিহত কাউন্সিল সাদেক ও তার লোকজন। এ ঘটনার জের ধরে গত বুধবার (৯ মে) এরশাদ ও তার লোকজন কাউন্সিল সাদেকের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কিন্তু রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে নিরপরাধীদের এ মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন স্থানীয় একাধিক সূত্র।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাকিম দাবি করেন, রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন হয়রানি করার জন্যই মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার পরিকল্পনা করেছে।
এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অবিলম্বে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
এমএএএম/আরআইএস/