শুক্রবার (১১ মে) সকালে বয়ে যাওয়া ওই ঝড়ে পশুপাখির প্রাণহানি, ফসল নষ্ট হওয়াসহ সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পানি, বিদ্যুৎ ও বিভিন্ন এলাকার গ্যাস সংযোগ।
শনিবার (১২ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, দুই দিন (শুক্র-শনিবার) বিদ্যুৎ না থাকায় পেশাজীবী ও ব্যক্তি জীবনের কাজকর্মেও স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি ও গ্যাসের অভাবে বাসাবাড়িতে কেউ রান্না করতে পারছে না।
নেত্রকোনা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবারের কালবৈশাখী ঝড়ে জেলায় অন্তত ১০ হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
নেত্রকোনা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আজমল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যুত দ্রুত চালু করার জন্য যথাসম্ভব কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এদিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঈনউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে সদরসহ পূর্বধলা, আটপাড়া ও খালিয়াজুরী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে বিধ্বস্ত হয়েছে তিন হাজার ঘরবাড়ি। নিহত হয়েছেন একজন। নষ্ট হয়েছে পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ধান। বিভিন্নস্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে ১২০টি। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শনিবার পর্যন্ত ১২ মেট্রিকটন চাল ও নগদ সাত লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৬০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
এনটি