শুক্রবার (১২ মে) দিনগত রাত দুইটায় বদরখালী বাজার মৌলভী মাহাদুরের চায়ের দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ওই আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
বদরখালী বাজারের এক মুদি দোকানি জানান, তার পাশের এক চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
বদরখালী বাজারের আলাউদ্দিন আলো জানান, আগুনে সিলিন্ডার গ্যাসের দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান, চাযের দোকান, ফার্মেসি, মোবাইলের দোকান, ফলের দোকান, মাছের আড়ৎ, মাছ ধরার জিনিসপত্রের দোকান ও মুদির দোকানসহ প্রায় ৬০ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দেরি করে আসার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি এলাকাবাসী। এ জন্য উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পরযায়ে স্থানীয়রা তাদের মারধর ও গাড়ি ভাংচুর করেন। পরে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে না এনেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার জানান, অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসতে দেরি করায় এতগুলো দোকান পুড়ে গেছে।
চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মী মুফিজুর রহমান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে স্থানীয়রা আমাদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর চালায়। এতে আমাদের সাতজন আহত হয়েছেন। তারপরও আমরা চেয়েছিলাম আগুন নেভাতে। কিন্তু এলাকাবাসী বাঁধার মুখে আমরা ফিরে এসেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
ওএইচ/