ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিজিটাল আইনের আপত্তিকর বিষয় আলোচনায় সমাধান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৩ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৮
ডিজিটাল আইনের আপত্তিকর বিষয় আলোচনায় সমাধান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাক স্বাধীনতা হরণ করে- এমন আপত্তিকর কোনো কিছু থাকলে তা নিয়ে সংসদীয় কমিটির সভায় বসে আলোচনা করে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (০৩ মে) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছেন আনিসুল হক।

প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি বাক স্বাধীনতা অনেক ক্ষেত্রে হরণ হবে বলে আশাঙ্কা করে আসছেন সাংবাদিকেরা।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এডিটরস কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট এর সঙ্গে বৈঠকে যে সব ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্তে এসেছি, আইনটি এখন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে আছে। কমিটির কাছে বক্তব্য দেওয়া হলে সেটাই হবে স্পস্ট মাধ্যম। সেখানে বক্তব্য জানালে আইনের পরিবর্তন বা সংশোধনের ব্যাপারে আলোচনা হবে। অ্যাটকো (বেসরকারি টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স) টেলিফোন করেছিলেন, সেখানে তারাও মিটিংয়ে যেতে চেয়েছেন।

আপত্তিকর বিষয়গুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক সরকার, আমরা যেহেতু বিশ্বাস করি যে, আইন জনগণের জন্য, সেহেতু আলাপ-আলোচনা করতে আমাদের কোনো দ্বিধা নাই। যদি সেখানে প্রমাণিত হয় যে কিছু কিছু ব্যাপারে রেগনেস আছে যেটা পরিবর্তন করা দরকার, সেখানে সংশোধন করতে আমাদের কোনো আপত্তি নাই।

আইনমন্ত্রী বলেন, সংসদীয় কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন যে, তাদের আমন্ত্রণ জানাত কোনো আপত্তি নাই। তিনি বলেছেন আগামী সভা হবে ২২ মে। সেখানে তিনটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করা হবে এবং আলাপ-আলোচনা হবে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি তো মনে করি গণমাধ্যম স্বাধীন। আপনারা সব কিছু রিপোর্ট করছেন। আপনারা যদি অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের গণমাধ্যমে তুলনা করেন তাহলে আমি বলবো যে আপনারা নিশ্চই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন যে, আমাদের গণমাধ্যম অন্যান্য অনেক গণতান্ত্রিক দেশের থেকে স্বাধীন।

নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে- বিএনপির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, এরকম কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই।

এর আগে হোটেলের ব্যালকনি হলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মানবাধিকার সংরক্ষণ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবন্ধ।

তিনি বলেন, ইউপিআর সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে। আইনে কথা বলার স্বাধীনতা হরণ হয় এমন কোনো বিষয় রাখা হবে না। আমরা মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করবো না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে গত ১০ বছরে সিভিল সোসাইটির অংশগ্রহণ কয়েক গুণ বেড়েছে। বিশ্বের কোনো দেশে মানবাধিকার নিখুঁত নয়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হকের সভাপতিত্বে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮/আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।