বুধবার (২ মে) বাদ আসর নগরের ভাতালিয়া জামে মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় পঞ্চায়েতি কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এরআগে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার কর্মক্ষেত্র নগরের মিরাবাজার দৈনিক শ্যামল সিলেট কার্যালয়ের সামনে। সেখানে মরহুমের জীবদ্দশায় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আবদুল মুকিত, সহকারী সম্পাদক মতিউল বারি চৌধুরী খোরশেদ ও বার্তা সম্পাদক আবুল মোহাম্মদ।
পরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সামনে মরদেহ আনা হয়। সেখানে মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব নেতারা, বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, মানবাধিকার সাংবাদিক কমিশন, রিপোর্টার্স ইউনিটি, সিলেট প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশন ছাড়াও রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল বাতিন ফয়ছল। বক্তারা ফটো সাংবাদিক ইকবাল মনসুরের কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
ফটো সাংবাদিক ইকবাল মনসুরের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন- শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) সভাপতি আশরাফুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দেবু, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুহিত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদসহ আরও অনেকে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের কানিশাইল মজুমদারপাড়ায় নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন ইকবাল মনসুর। তিনি দীর্ঘদিন লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৫ বছর। তিনি স্ত্রী-একমাত্র মেয়ে, মা, তিন বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ইকবাল মনসুরের মৃত্যুর খবর পেয়ে কানিশাইল মজুমদারী এলাকায় তার বাসায় ভিড় করেন সাবেক ও বর্তমান মেয়রসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। তারা মরহুমের স্বজনদের শান্তনা দেন এবং গভীর সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৮
এনইউ/জিপি