ঘটনাটি বুধবার (২ মে) খাগড়াছড়ির জেলা শহরের মেহেদীবাগ এলাকায় ঘটে।
অল্প সময়ের মধ্যেই নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অতঃপর বুধবার দুপুরে ওই নির্যাতনকারী ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। নাম মো. মাসুদ। তিনি মেহেদীবাগ এলাকার ফয়েজ আহম্মেদের ছেলে।
মাসুদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম নোয়াখালীর জামাপুর গ্রামের মৃত সালামত উল্লাহ’র মেয়ে। মূলত যৌতুকের জন্য রোকেয়া বেগমের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং এই নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনা বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা যায়, ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে মাসুদের সঙ্গে রোকেয়া বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দু’টি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য রোকেয়ার উপর চলতো অমানবিক নির্যাতন। দুই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নীরবে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে চলছিলেন রোকেয়া। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয়রা জানলেও কেউ মুখ ফুটে কিছু বলতেন না।
এদিকে বুধবার রোকেয়া বেগমের উপর মাসুদ ফের নির্যাতন শুরু করলে স্থানীয় এক ব্যক্তি তা ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। পরে স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে গেলে বিষয়টির সত্যতা খুঁজে পান। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করলে তারা মাসুদকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
ভিডিওতে দেখা যায় রোকেয়া বেগমকে বেদম পেটাচ্ছে মাসুদ। এসময় দুধের শিশু বুকে নিয়ে নির্যাতন সইতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রোকেয়া। এসময় সে বাঁচার আকুতি জানায়। কোলের শিশুটিও কাঁদছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাৎ হোসেন টিটো জানান, এবিষয়ে পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দাখিল করেনি। আমরা জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সামাজিকভাবে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৮
এডি/এনএইচটি