ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উজিরপুরে শিশু সাইয়ুম হত্যার রহস্য উদঘাটন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৮
উজিরপুরে শিশু সাইয়ুম হত্যার রহস্য উদঘাটন

বরিশাল: বরিশালের উজিরপুরে মাদরাসা ছাত্র শিশু সাইয়ুম বিশ্বাসকে (১১) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের তিনদিন পর ঘাতক মিলন ফকিরকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২ মে) মিলন ফকির বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল।

মঙ্গলবার (১ মে) রাতে তাকে আগৈলঝাড়ার বাগদা থেকে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়।

সে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগদা এলাকার আলম ফকিরের ছেলে।

ওসি বলেন, ২৭ এপ্রিল রাতে সাতলা বাজারের একটি দোতলা ভবনের ছাদে হত্যার শিকার হয় শিশু সাইয়ুম বিশ্বাস (নাইম)। সেখান থেকে ২৮ এপ্রিল সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২৯ এপ্রিল নিহত শিশুটির বাবা মোশাররফ বিশ্বাস বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত নামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরেই মঙ্গলবার রাতে আগৈলঝাড়া থেকে মিলন ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়।

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মিলন জানায়, উজিরপুরের সাতলায় নানা বাড়িতে প্রায়ই বেড়াতে আসত মিলন ফকির। সেখানে এসে তিনি মাদক সেবন করতো। এলাকায় বসে এইসব করায় সাইয়ুম বিশ্বাসের বড় ভাই সাঈদ বিশ্বাস মিলন ফকিরকে বকা-ঝকা করতো। এরই জের ধরে ২৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে মিলন সাঈদের ছোট ভাই সাইয়ুমকে নিয়ে সাতলা বাজারের দোতলা একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে বসে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ড হয়। একপর্যায়ে মিলন সাইয়ুমকে চর দিলে সাইয়ুম মিলনকে ধাক্কা দেয়। এতে মিলন আহত হলে সে সাইমের গলা টিপে ধরে।

একপর্যায়ে শিশুটি দুর্বল হয়ে লুটিয়ে পড়লে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পুনরায় মিলন সাইয়ুমের গলা টিপে শ্বাসরোধ করে। পরে মিলন সাইয়ুমকে নিয়ে ছাদের কার্নিশে লুকিয়ে রাখে এবং সাইমের মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায়। পরে রাত ২টার দিকে মিলন আবার মরদেহ দেখতে এসে সাইয়ুমের ব্যবহৃত সিম কার্ডটি সেখানে ফেলে রেখে যায়। এরপরের দিনই মিলন তার বাড়ি আগৈলঝাড়াতে চলে যায়।

ওসি বলেন, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে মিলন জানিয়েছে সে ঢাকায় একটি লেপ তোষকের দোকানে কাজ করে। তবে তার এই কথায় আমাদের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কেননা সে নেশাগ্রস্থ।

এ ঘটনায় আদালতের বিচারক মিলনকে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৮
এমএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।