ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বদনাতলী ও চরশিবা রুটে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৮
বদনাতলী ও চরশিবা রুটে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন বদনাতলী ও চরশিবা রুটে ফেরি কেতকী। ছবি: বাংলানিউজ

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে বদনাতলী ও চরশিবা রুটে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন হয়েছে।

বুধবার (২ মে) সকালে নৌ-মন্ত্রী শাহজাহান খান এ রুটের ফেরি সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় (পটুয়াখালী-৩) সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গির হোসাইন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়েত উদ্দিনসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহ্ জাহান খান বলেন, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার অন্যতম বিপৎসংকুল এই নদী পারাপারে এখন আর কোনো বাধা বা ভয় থাকল না। বিচ্ছিন্ন চরের মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টাতে এ রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে এক নতুন দিগন্ত স্থাপন করা হলো। এসব এলাকার কৃষি, মৎস্য, পর্যটন এবং স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন খাতেও ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া বইবে বলে আশা করি।

উদ্বোধনী ফেরিতে করে মন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা বদনাতলী ঘাট থেকে চরকাজল চরশিবা ফেরিঘাটে পার হন। এসময় প্রায় শতাধিক নৌযান নিয়ে নদীতে উল্লাস করেন স্থানীয়রা।  

উদ্বোধন শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথ সভায় অংশগ্রহণ করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন নৌ-মন্ত্রী।  

স্থানীয়দের তথ্যানুযায়ী, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার অন্যতম বিপৎসংকুল নদী বুড়াগৌরাঙ্গ। বছরের বেশির ভাগ সময় এটি উত্তাল থাকে। প্রায় আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ নদীটি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে শেষ হয়। ফলে সামান্য বায়ুপ্রবাহে নদীর স্রোত হিংস্র হয়ে ওঠে। এখানে বহুবার নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নদীটি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল, চরবিশ্বাস, দশমিনা উপজেলার চরবোরহান, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ও ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের প্রায় ৭০টি গ্রামকে মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। দিনের বেলা ঝুঁকিপূর্ণ খেয়া পারাপারের কোনোরকম ব্যবস্থা থাকলেও রাতে তা পুরোপুরি বন্ধ থাকে।

বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার চার উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাঁচটি ইউনিয়নের অত্যন্ত ৭০টি গ্রামের আড়াই লাখ মানুষ সড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হলো।  

বিআইডব্লিউটিসির বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন উর রশিদ জানান, নৌমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ রুটে ‘কেতকী’ নামের অত্যাধুনিক ফেরি সার্ভিস চালু হলো। এই ফেরিতে এক সঙ্গে অত্যন্ত ২০-২৫টি গাড়ি পারাপার হতে পারবে।

তিনি আরও জানান, ফেরি সার্ভিস চালুর আগে বদনাতলী ও চরশিবা ঘাটে জেটি স্থাপন করা হয়েছে। যেসব জায়গায় ডুবোচর রয়েছে সেগুলোও কাটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৮
এমএস/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ