বুধবার (০২ মে) দুপুর দেড়টার দিকে কলাতলীর হোটেল জামাল, সি ওয়েভ, কক্স ভ্যালি ও সি পয়েন্ট রিসোর্টের সামনে ময়লার স্তূপ জমা করতে দেখা যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের।
এবিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও কিছু হোটেল, মোটেল ও কটেজ থেকে ভ্যাট আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না।
হোটেল জামালের ম্যানেজার শাহনিয়াজ জানান, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত একটি ডাম্পার আকস্মিকভাবে এসে হোটেলের একদম সম্মুখে ময়লাগুলো ফেলে। এতে মুহূর্তের মধ্যে দুর্গন্ধে সয়লাব হয়ে যায় পুরো এলাকা। ময়লার স্তূপে হোটেলের প্রবেশ পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আটকে গেছেন হোটেলের গেস্টরা।
একইভাবে সি ওয়েভ, কক্স ভ্যালি ও সি পয়েন্ট রিসোর্টেও এভাবে ডাম্পার দিয়ে ময়লা ফেলা হয়।
এবিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর চৌধুরীর বলেন, কয়েক দফা অনুরোধ ও লিখিত নোটিশ দেওয়ার পরও অনেক হোটেল ও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ ভ্যাট দেয়নি। এতে পৌরসভার উন্নয়ন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তা অপরিষ্কার, নালা-নর্দমায় ময়লা, সড়ক বাতি জ্বলে না ইত্যাদি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে পৌর পরিষদকে প্রতিনিয়ত হেয় করেন জনতা। অথচ সেই জনগণের একটি অংশ পৌরকর ফাকি দেয়। তারা ভ্যাট, ট্যাক্স ফাকি দিবে, কিন্তু সেবা চাইবে শতভাগ। তাই ভ্যাট আদায়ের জন্য বাধ্য হয়ে ময়লা ফেলার অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি এতে তাদের বোধোদয় হবে।
মেয়র জানান, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাসহ নানা প্রকল্প পাওয়ার জন্য ৮৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় দেখাতে হয়। কিন্তু কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত ৩৪ শতাংশ ভ্যাট আদায় সম্ভব হয়েছে। জুন মাসের মধ্যে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে পৌরসভার চলমান প্রকল্পগুলো বাতিল হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৮
টিটি/এনএইচটি