ঢাকাবাসীর অন্যতম প্রধান ঘোরাঘুরির এ জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, সাধারণত যে ভিড় দেখা যায় ছুটির দিনগুলোতে, মঙ্গলবার তেমন কোনো চাপ ছিলো না। তরুণ-তরুণীদের ফাঁকে দেখা গেছে কেবল ছিল বন্ধু-বান্ধবের আড্ডা।
কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তারা বলেন, এই সপ্তাহে মাত্র দু’দিন (৩০ এপ্রিল ও ৩ মে) কর্মদিবস থাকায় অনেক সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি গেছেন। অনেকে ছুটেছেন ঢাকার বাইরে। কেউ কেউ আবার গেছেন বিদেশেও। সেজন্য তেমন ভিড় দেখা যাচ্ছে না প্রধান এই বিনোদন কেন্দ্রে।
রাজধানীর স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হোসেন ছোট ভাইকে নিয়ে এসেছেন চিড়িয়াখানা দেখাতে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মে দিবস ও শবে বরাতের দু’দিনের ছুটিতে ঢাকা কিছুটা ফাঁকা। তাই ছোট ভাইকে নিয়ে চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, বিমান জাদুঘর দেখতে এসেছি।
চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, ভেতরের চলাচলের পথগুলো বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। আগত দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে বেবুন, বানর আর উল্লুক। বানরের লাফালাফিতে শিশুদের পাশাপাশি আনন্দিত করে অভিভাবকদেরও। এর বাইরে বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, জিরাফ, হাতি, হরিণসহ সবগুলো খাঁচার সামনেও ছিলও দর্শনার্থীদের জটলা।
আবাসন কোম্পানির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, টানা দু’দিনের ছুটিতে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে চিড়িয়াখানা দেখতে এসেছি। অন্য সময়ে নিজের অফিসের পাশাপাশি ছেলে-মেয়ের স্কুল খোলা থাকে। কিন্তু এবার সবার ছুটি রয়েছে বিধায় আজকের দিনটি বেছে নিয়েছি।
ঢাকা চিড়িয়াখানার কিউরেটর নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সকালের দিকে দর্শনার্থীর একটু কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের আগমন বেড়েছে। তবে সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে যে ভিড় হয়, তেমন ভিড় ছিল না। কারণ, লম্বা ছুটির কারণে অনেকেই ঢাকার বাইরে বা বিদেশে চলে গেছেন।
বরাবরের মতো আগামী ছুটির দিন বুধবারও (২ মে) সকাল ১০টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ২০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৮
এসই/এইচএ/