শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার খলিশাকোটাল সীমান্তের ৯৩৫ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাব পিলারের পাশে এ ঘটনা নিয়ে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অন্তর্গত বালারহাট বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম ও ভারতের পক্ষে বসকোটাল বিএসএফ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর গোবেন্দ্র সিং।
বৈঠকে ইটের পরিবর্তে টিনসেড ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে লালমনিরহাটের ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বালারহাট ক্যাম্পের বিজিবি সদ্যস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি নির্মাণ কাজ স্থগিত করে দেন।
সীমান্তবাসী ও বিজিবি সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খলিশাকোটাল সীমান্তের আন্তর্জাতিক ৯৩৫ নম্বর সীমানা পিলারের পাশে বাংলাদেশি নোম্যান্সল্যান্ডে মফছার আলী ও নুর ইসলাম নিজ বাড়িতে ইট দিয়ে তিন ফুট উচুঁ দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে বালারহাট ক্যাম্পের বিজিবি’র কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লংঘন করে পাকাবাড়ি নির্মাণ বন্ধের দাবি জানায় ভারতীয় বসকোটাল ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। পরে বিএসএফের দাবির প্রেক্ষিতে ওই বাড়ির নির্মাণ কাজ স্থগিত করে দেয় বিজিবি।
১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ফজলুল হক বাংলানিউজকে জানান, সীমান্ত আইন অনুযায়ী শুন্য লাইন থেকে ১৫০ গজের মধ্যে পাকা স্থাপনা করার নিয়ম নেই। তবে টিনসেড ঘর নির্মাণ করা যাবে। বিএসএফের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে ওই দুই বাংলাদেশিকে টিনসেড ঘর নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
এফইএস/ওএইচ/