মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরের পর লালমোহন, মনপুরা ও তজুমদ্দিনের উপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। নিহত শুক্কুরের বাড়ি যশোর জেলায় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে লালমোহনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে পৌর এলাকার লালমোহন কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মায়ানগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আব্দুল ওহাব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব মহেশখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব রমাগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনের ঘর ভেঙে পড়েছে।
এ সময় কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ, যুগল চন্দ্র শীল, মঈনুল ইসলাম, মাহাদী, মিতা মজুমদার, ইমরান, মারুপ, নাঈমুল, কমল কৃষ্ণ, পারভেজ ও মায়ানগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র শান্ত, হৃদয়, রিয়াজ, শুভ আহত হয়।
লালমোহন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ইমা হক, চরভূতা ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদ (৪৫), নয়ানীগ্রামের তাজু আহত হয়।
এছাড়া উপজেলার করিম রোড এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড়ের পৌর এলাকা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অন্তত দুই শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয় বলে লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে প্রত্যেকের জন্য ২ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ কেজি করে চাল ও নগদ ৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউইনও) হাবিবুল হাসান রুমি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। এছাড়া স্বরুপকাঠি থেকে পাঠকাঠি নিয়ে লালমোহনের ফরাজগঞ্জের উদ্দেশে আসা একটি নৌকা তেঁতুলিয়া নদীতে ডুবে গেলে আব্দুস শুক্কুর নামে এক জেলের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, মনপুরায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার একটি মহিলা মাদ্রাসাসহ ৪টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে সিমেন্ট বোঝাই আল্লাহর দান কার্গো কাত হয়ে পড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার সিমেন্টের ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। এদিকে উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন চরনিজাম, কলাতলীর চর ও কাজীর চরে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য স্ব স্ব এলাকার ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন, ২০ কেজি চাল ও নগদ ৬ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
আরএ