সোমবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর আমলি আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
অবশ্য জেলার চাঁদমুহা সরলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থগারিক শিক্ষক ফারুক হোসেন রোববার (১৫ এপ্রিল) আদালতে আত্মসমর্পণ করে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। এরপর সোমবার তাকে রিমান্ডে নিলো পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ২০১৬ সালে ফারুক হোসেন একাধিক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতেন, সেখানে ছিলেন তার লালসার শিকার অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীও।
ফারুক অন্য শিক্ষার্থীদের প্রাইভেটের ব্যাচ থেকে বাদ দিয়ে কেবল ওই ছাত্রীকে পড়াতে থাকেন। এরই একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তা মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। সেই ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গত দুই বছরে ছাত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে হাতিয়ে নেন দুই লাখের অধিক টাকা।
সবশেষ গত ২৮ মার্চ প্রাইভেট পড়তে আসলে ওই ছাত্রীর কাছে আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন ফারুক। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ধারণকৃত ভিডিও বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেন তিনি।
এ ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় শিক্ষক ফারুক হোসেন ও দুই শিক্ষার্থীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে আসামি এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এমবিএইচ/এইচএ