জ্ঞাত বহির্ভূত আয় ও শত শত কোটি টাকা অবৈধ ভাবে আয়ের অভিযোগে বুধবার (১১ এপ্রিল) তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিলো দুদক।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আমদানি করা সার পরিবহনে অনিয়ম এবং গুদামে সার সরবরাহ না করে পাচারের মাধ্যমে ওই অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। তিনি বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান।
দুদক সূত্র জানায়, কামরুল আশরাফ খানের বিরুদ্ধ অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন সংস্থার উপসহকারী পরিচালক একরামুর রেজা।
অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে হাজির না হয়ে সংস্থাটির কাছে দুই মাসের সময় চেয়েছেন বজলুল হক হারুন (বি এইচ হারুন)।
দুদক সূত্র জানায়, সময় চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আবেদন করেন বি এইচ হারুন। ওই আবেদন সকালে অনুসন্ধান দলের হাতে পৌঁছায়।
বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের এক গ্রাহকের ১৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধভাবে সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের এ এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ৩ মার্চ এক তলবি নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে তাকে ১১ এপ্রিল সংস্থাটির কার্যালয়ে হাজির হয়ে জবানবন্দি দিতে বলা হয়।
জানা গেছে, সৌদি সরকারের সাহায্যে ২০০৮ সালে সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ১৫ হাজার ঘর নির্মাণের ২০৪ কোটি টাকার কাজ পেয়েছিলেন খলিলুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। তার হিসাব ছিল প্রিমিয়ার ব্যাংকের বংশাল শাখায় এবং কাজ চলাকালে ২৯৭টি চেকের পাতার মাধ্যমে ৭০ কোটি টাকা তিনি উত্তোলন করেন। কাজ শেষে বাকি টাকা তোলার জন্য খলিলুর বংশাল শাখায় গেলে তৎকালীন ব্যবস্থাপক সামসুদ্দিন চৌধুরী (পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে ডিএমডি) বলেন, তিনি সব টাকা তুলে নিয়ে গেছেন এবং হিসাবও বন্ধ করে দিয়েছেন।
খলিলুর রহমান বলেন, তার অজ্ঞাতে অতিরিক্ত ৩৮৮টি চেক বই ইস্যু দেখিয়ে জাল সইয়ের মাধ্যমে ১৩৪ কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছেন বি এইচ হারুন। বেশির ভাগ টাকা তোলা হয়েছে ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে, যা বি এইচ হারুনের অফিস থেকে ৫০ গজ দূরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
আরএম/এসএইচ