ঘটনার একদিন পর বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের কবল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে র্যাবের একটি বিশেষ টিম। এ সময় মো. আব্দুল্লাহ (২২) নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (০৬ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উদ্ধার হওয়া শিশু ও আটক অপহরণকারীকে নিয়ে সিলেট মেজরটিলা ইসলামপুরে র্যাব-৯ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এতে র্যাব-৯ অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ বলেন, বুধবার (০৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় কোম্পানীগঞ্জ টুকের বাজার নিজবাড়ি থেকে আব্দুল জলিলের শিশু সন্তান জুনায়েদ ইসলাম কাশেমকে অপহরণ করা হয়। শিশুটির বাবা এদিন ওই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অপহরণের পর শিশুটিকে কানাইঘাটে নিয়ে যায় সে। সেখানে অপহরণকারী তার বাবা ও চাচার সহায়তায় শিশুটিকে লুকিয়ে রাখে। সে শিশুটির বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ র্যাবের কাছে নিয়ে আসেন শিশুটির বাবা। প্রথমে ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হলে সে মাজার গেইট এলাকায় টাকা নিয়ে আসতে বলে। পরে কৌশল পরিবর্তন করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে।
প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান কানাইঘাট এলাকায় নির্ধারণ করতে পেরে উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি টিম সেখানে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাবের অপারেশনাল টিম।
তিনি বলেন, অপহরণকারী আব্দুল্লাহ ৩ মাস আগে শিশুটির বাবার বেকারিতে চাকরি করতো। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর ৩ হাজার ৪শ’ টাকা পাওনা ছিলো। সেই ক্ষোভ থেকে সে শিশুটিকে অপহরণ করে। এ কাজে সহায়তা করে অপহরণকারীর বাবা ও চাচা। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব অধিনায়ক আরো বলেন, সামাজিক অবক্ষয় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, সামান্য টাকার জন্য কোলের শিশুটিকে অপহরণ করা হলো। র্যাবের তৎপরতায় শিশুটি মায়ের কোলে স্থান পেয়েছে। নতুবা তার ভাগ্যে খারাপ কিছু ঘটতে পারতো। আটক আব্দুল্লাহকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮
এনইউ/জেডএস