২০১৫ সালে তিনি ভোটার তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ছবিও উঠিয়েছিলেন।
এসময় জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজের কথা বললে নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আসিফ মুন্নাকে বলেন, ‘ডাটাবেজ তুলবেন? এখানে সাময়িক ডাটাবেজ দেওয়া হবে না। আর আজ পাওয়াও যাবে না। আমাদের এখানে ইন্টারনেট নেই, নির্বাচন অফিসের সার্ভার বন্ধ। খুব বেশি প্রয়োজন যদি হয়, মিরপুর বাজারে বনলতা কম্পিউটারে যান। সেখানে নিবন্ধন স্লিপ দিলেই ছবিসহ ভোটার তথ্য দেবে। সেটা দিয়ে চাকরিতে আবেদন করা যাবে। ’
এছাড়া নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক মাসুম মুন্নাকে বলেন, ‘অন্য কোথাও গেলে পাবেন না, বনলতায়ই যান। সহজেই হয়ে যাবে। পরে আমাদের এখানে আসলে সত্যায়িত করে দেব। ’ এসব কথা শুনে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেন মুন্না।
মুন্নার মতো সাময়িক ডাটাবেজ নিতে উপজেলার বারুইপাড়া এলাকার শারমিন আক্তার এসেছিলেন নির্বাচন অফিসে। এর জন্য শারমিন একটি আবেদনপত্রও লিখে এনেছিলেন। কিন্তু তাকেও বনলতা কম্পিউটার থেকে তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন তারা।
বনলতা কম্পিউটারের রিক্তা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ভোট লেখানো স্লিপ আর জন্ম তারিখ নিয়ে আমাদের এখানে আসলেই ভোটার আইডি কার্ডের ইন্টারনেট কপি তুলে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিরিনা আক্তার বানু বাংলানিউজকে বলেন, যে কোনো কম্পিউটারের দোকান থেকে ডাটাবেজ সংগ্রহ করা যায়। খুব জরুরি হলে আমরা ব্যবস্থা করে দেই। তাছাড়া আমাদের এখানে অনেক সময় কম্পিউটার বা প্রিন্টার নষ্ট থাকলে বাইরে থেকে সংগ্রহ করতে বলি। এছাড়া অনেক সময় ব্যস্ততার কারণেও আমরা ডাটাবেজ তুলে দিতে পারি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
টিএ