ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে নিহত মা-ছেলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৮
সিলেটে নিহত মা-ছেলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

সিলেট: সিলেটে নিহত মা-ছেলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মরদেহ ‍দু’টি নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হুসনে আরা বেগম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

 

এদিকে, মা-ছেলে হত্যার ঘটনায় রোববার (০১ এপ্রিল) মধ্যরাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা (নং-০২(৪)১৮) দায়ের করেন নিহত রোকেয়া বেগমের ভাই জাকির হোসেন। মামলায় অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।  
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল বাংলানিউজকে বলেন, মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা না হলেও কিছুদিন আগে রোকেয়া বেগমের বাসায় হামলা, মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে শিপলু, তানিম ও সুমনের এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।  
রোববার (০১ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর মিরাবাজার খাঁরপাড়া ১৫/জে বাসার নীচতলা থেকে রোকেয়া বেগম (৪০) ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম রোকনের (১৬) মরদেহ এবং মেয়ে রাইসাকে (৫) জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহত রোকেয়া বেগম সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর কলকলি গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী। স্বামী আরেক বিয়ে করায় বনিবনা না হওয়াতে বছরখানেক ধরে ওই বাসায় দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন রোকেয়া।     

গত শুক্রবার (৩০ মার্চ) থেকে তার মোবাইল বন্ধ পেয়ে খোঁজ নিতে এসে তার ভাই জাকির হোসেন বাসায় তাদের মরদেহ দেখতে পেয়ে বাসার মালিক ও স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে পুলিশকে অবহিত করেন। রোকেয়া ও তার ছেলে গলা কেটে হত্যা করা হয়।  

পুলিশের ধারণা, ৫ বছরের রাইসাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করা হয়। সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মৃত ভেবে ফেলে যায় হত্যাকারীরা। পরবর্তীতে রাইসা জ্ঞান ফিরে পায়। এ ঘটনার পর থেকে বাসার কাজের মেয়ে তানিয়া পলাতক রয়েছে।  
পুলিশের ধারণা, তানিয়ার সঙ্গে ঝামেলার জের ধরে কিছুদিন আগে শিপলু, তানিম ও সুমনের সঙ্গে ঝামেলা হয়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মুরব্বীরা শেষ করে দিলেও এ ঘটনার জের থেকে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে? বিষয়টি সামনে রেখে তদন্ত চালানো হচ্ছে। যে কারণে মামলায় তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।  

তবে মা ছেলের হত্যার ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও জানান কোতোয়ালি থানার ওসি গৌসুল হোসেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
এনইউ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।