সোমবার (০২ এপ্রিল) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম এ রিমান্ড দেন।
আদালত সূত্র জানায়, আকল মিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটনে রুবেলের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবির ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটো বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে বলেছে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। আলামতও জব্দ হয়েছে। এছাড়া রুবেল এজাহারভুক্ত আসামি না হওয়ায় আমরা রিমান্ডের বিরোধিতা করেছি। তারপরও আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাই জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন করা হবে বলে রিমান্ডের আদেশ স্থগিত রাখতে আবেদন করা হয়েছে। তবে বিচারক এ ব্যাপারে এখনও কোনো আদেশ দেননি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির ওসি শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, রুবেল আকল মিয়া হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন। তার সঙ্গে আরো কারা জড়িত আছেন এবং হত্যার সকল রহস্য উদঘাটনের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সকল রহস্য উন্মোচন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যতম আসামি জসিম উদ্দিন ওরফে শামীম গ্রেফতারের পর শনিবার সন্ধ্যায় ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে এ হত্যার পরিকল্পনায় রুবেল জড়িত আছেন বলে জবানবন্দিতে বেড়িয়ে আসলে শনিবার রাতে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়।
১ মার্চ ভোরে চুনারুঘাটের বাল্লা রোডে মসজিদে যাওয়ার পথে আবুল হোসেন আকল মিয়াকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
টিএ