সোমবার (২ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টায় রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারে করে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি সার্ভিস এরিয়া-১ এ পৌঁছান।
সেখানে পৌঁছার পর তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
বিকেল ৩টার দিকে পদ্মা নদীতে সিবোটে করে সেতুর কাজ ঘুরে দেখবেন তিনি। জাজিরা প্রান্তে তিনটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সেতুর যে ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান, তা তিনি ঘুরে দেখবেন।
এরপর শরীয়তপুর নাওডোবার সার্ভিস এরিয়া-২ এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি। সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) সকালে নাস্তা করে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মসেতুতে বসানো হয় প্রথম স্প্যানটি। এর প্রায় ৪ মাস পর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর মাত্র দেড় মাস পর রোববার (১১ মার্চ) শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যানটি বসানো হলো।
দ্বিতীয় স্প্যানটি বসাতে প্রকৌশলীদের সময় বেশি লাগলেও তৃতীয় স্প্যানটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে পিলারের ওপর বসাতে সক্ষম হন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে শনিবার (১০ মার্চ) বিকেলে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান নিয়ে ভাসমান ‘তিয়ান ই’ ক্রেনটি ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছায়। এই ক্রেনের ধারণ ক্ষমতা তিন হাজার ৬০০ টন।
প্রথম স্প্যান বসাতে প্রকৌশলীদের বেশি সময় লাগলেও আস্তে আস্তে বাকী স্প্যান বসাতে কম সময় লাগবে। শুকনো মৌসুমের সুবিধা কাজে লাগাতে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে মাওয়া প্রান্তের পাইলিংয়ের কাজ এগিয়ে রাখতে চান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের ‘প্রকল্প পরিচালক’ শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২ পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এই সেতুর কাঠামো এবং সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮/আপডেট:১৫২৫ ঘণ্টা
আরএ