ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আকল মিয়া হত্যা, কিলিং পরিকল্পনা করে রুবেলসহ কয়েকজন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৮
আকল মিয়া হত্যা, কিলিং পরিকল্পনা করে রুবেলসহ কয়েকজন আকল মিয়া (ফাইল ছবি)

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন হওয়ার পথে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রুবেলসহ কয়েকজন কিলিং পরিকল্পনা করে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

রোববার (১ এপ্রিল) দুপুরে এ ব্যাপারে প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করে জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা জানান, শামীমের স্বীকারোক্তিতে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন হওয়ার পথে।

পিবিআইসহ অন্যান্য তদন্ত সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এজাহার নামীয় চার আসামির মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে জসিম উদ্দিন ওরফে শামীমকে গ্রেফতারের পর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির মাধ্যমে হত্যার মোটিভ এবং ক্লু উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

তিনি আরো জানান, মূলত জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করেই খুন করা হয় আকল মিয়াকে। মামলার শুরুতেই বলেছিলাম কোনো রাঘব বোয়াল বা ক্ষমতাশালী লোক থাকলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এখনও বলছি কাউকে ছাড়া হবে না।

এদিকে শনিবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বিগত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করা হয়েছে। সোমবার এর শুনানি হবে বলে আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার আরো জানান, সব হত্যার পেছনেই কোনো না কোনো স্বার্থ থাকে। ক্ষমতা, সম্পদ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। আকল মিয়া কম দামে জায়গা কিনে বেশি দামে বিক্রি করতেন। এটি ছিল তার ব্যবসা। আসামি জসিম উদ্দিন ওরফে শামীমের মামা বাড়ির একটি দোকানের ভিটি নিয়ে তার সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ ব্যাপারে মামলাও হয়।

আকল মিয়ার কাছ থেকে জমিটি দখল করতে শামীম সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুবেলসহ কয়েকজন চুনারুঘাট বাজারের ভগবতী গ্লাস হাউজে বসে কিলিং পরিকল্পনা করে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চার/পাঁচজন মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাইফুল ইসলাম রুবেল হত্যা পরিকল্পনার সময় উপস্থিত ছিল। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করা হয়েছে। এই রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১ মার্চ ভোরে হাজী আবুল হোসেন আকল মিয়া বাল্লা রোডের নিজ বাসা থেকে মসজিদে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হন। পরে চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।