সোমবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি সার্ভিস এরিয়া-১ এ আসবেন। সেখানেই থাকছে খাবারের এ আয়োজন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে পৌনে ১টার মধ্যে রাষ্ট্রপতি সার্ভিস এরিয়া-১ পৌঁছাবেন। গার্ড অব অনার গ্রহণের পর এখানেই দুপুরের খাবার খাবেন তিনি। এরপর তিনি মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড পরিদর্শন করবেন। বিকেল ৩টার দিকে পদ্মা নদীতে সিবোটে করে সেতুর কাজ ঘুরে দেখবেন তিনি। জাজিরা প্রান্তে তিনটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সেতুর যে ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান, তা তিনি ঘুরে দেখবেন। এরপর শরীয়তপুর নাওডোবার সার্ভিস এরিয়া-২ এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি। সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার(৩ মার্চ) সকালের নাস্তা করে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
তিনি আরোও বলেন, রাষ্ট্রপতির পদ্মাসেতু পরিদর্শনকে ঘিরে প্রকল্প এলাকায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
বিআইডব্লিউটিসি’র উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রপতি মাওয়া প্রান্তে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের জেটি ব্যবহার করবেন। আর জাজিরা প্রান্তে ব্যবহার করবেন বিআইডব্লিউটিসি’র জেটি। এর জন্য নতুন করে পন্টুন ও ঘাট এলাকা রঙ করা হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান কার্যালয় থেকে একটি চিঠি এসেছে। রাষ্ট্রপতি আসার দিন দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য সার্ভিস এরিয়া-১ এ হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার, সহকারী পরিচালক মো. নাহিদ হাসান জনি বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স, পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আট শতাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সার্ভিস এরিয়া-১ থেকে মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাট পর্যন্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ ডগ স্কোয়াড অবস্থান করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
এসআই/জেএম