রোববার (০১ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে অপসারণের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহাব উদ্দিন সমর্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা।
শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারি তালুকদার, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুস সালাম, জালাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মোকসেদুর রহমান লেবু, সাধারণ সম্পাদক সরকার গোলাম ফারুকসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ঘিরে ইউএনও তরফদার সোহেল মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। স্বাধীনতা দিবসে চাঁদাবাজি করে দায়সারাভাবে অনুষ্ঠান করেছেন ইউএনও। ওইদিন উপজেলা পরিষদ কার্যালয় আলোক সজ্জিত করলেও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় সজ্জিত করেননি তিনি। বাঙালির গৌরবের এ দিনটিতে অন্ধকারে ছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
এছাড়াও তারা সাবেক কমান্ডার মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে রাজাকার কমান্ডার রফিজ উদ্দিনের কাছ থেকে ১৯৭৩ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দখল করা ৯৮ শতাংশ জমি সুকৌশলে তার নিজের নামে করে নেওয়ার অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, ইউএনও ও ভূমি আত্মসাতকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইউএনও তরফদার সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, আমি সাবেক কমান্ডার শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করিনি। বরং আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনের কথোপকথনে অশালীন আচরণ করেছেন শাহাব উদ্দিন। যা আমার কাছে কল রেকর্ডে সংরক্ষণ করা আছে।
অভিযুক্ত কমান্ডার মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
টিএ