আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন কথা জানিয়েছেন ঘাতক কাশেম। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ১১ মাস পলাতক থাকার পর স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় কাশেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রোববার (০১ এপ্রিল) দুপুরে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, শনিবার (৩১ মার্চ) কাশেম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, প্রায় ২৮ বছর আগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার মৃত হাছেন আলী ফকিরের ছেলে আবুল কাশেমের সঙ্গে বিয়ে হয় জেলার ভালুকা উপজেলার সোয়াইল গ্রামের মৃত কাশেম আলী খানের মেয়ে জেসমিনের। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন কাশেম।
তবে তার জুয়া খেলার নেশা থাকায় স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকতো। এ ঘটনার জেরে গত বছরের ৮ জুন নিজ ঘরে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেন কাশেম। পরে জেসমিনের ভাই আজিজুর রহমান খান কাশেমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এ মামলার পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন কাশেম। পরে শুক্রবার (৩০ মার্চ) রাতে উপজেলার মল্লিকবাড়ী এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাশেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
এমএএএম/আরআইএস/