রোববার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ধানবান্ধি ও পুঠিয়াবাড়ী মহল্লার বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধানবান্ধি মহল্লার মুক্তিযোদ্ধা মানিকের ছেলে শিহাব হোসেনের সঙ্গে পুঠিয়াবাড়ী মহল্লার কয়েক যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সোহাগ হোসেনকে মারধর করে ওই যুবকেরা। পরে সোহাগকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন ধরে দু’মহল্লাবাসীর মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। রোববার সকাল থেকে উভয়পক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। আহতদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
আরএ