কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিচ্ছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা। তারা জানাচ্ছে, চোগমে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, দু’টি দেশেই নির্বাচন আসন্ন। যদি এ বৈঠক হয়, তবে তা হবে দু’দেশের দায়িত্বরত সরকারের শেষ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক। সেজন্য এই বৈঠকের গুরুত্ব গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই পর্যাপ্ত।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বক্তব্য, বাংলাদেশ সরকারের আরও বেশি আস্থা অর্জন করাটাকে এখন অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। লন্ডনে বৈঠক হলে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে ওই বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো ‘পাকা’ কথা দেওয়া সম্ভব হবে না মোদীর তরফ থেকে। তাছাড়া, দিল্লির পক্ষ থেকে সম্প্রতি ঢাকাকে জানানো হয়েছে, তিস্তা ছাড়াও আরও অনেক দিক রয়েছে দু’পক্ষের সম্পর্কে। যে কাজগুলো দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় চলছে তার পাশাপাশি নতুন কোনো ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানো যায় কি-না, তা নিয়ে কথা বলবেন দুই নেতা।
দুই প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলবেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উগ্র মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসের মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা আগামী দিনগুলিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেজন্য শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে বিষয়টি উঠে আসতে পারে। এছাড়া, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য ভারত যে ঐকান্তিক, সেকথা স্পষ্টভাবেই জানানো হবে ঢাকাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
এইচএ/