বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ফরিদ মিয়ার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার তাদের পৃথক সময়ে আটক করা হয়।
এছাড়াও বাবুলকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় শায়েস্তাগঞ্জের পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন হাওর থেকে স্কুলছাত্রী বিউটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে এ ঘটনায় ওই দিনই বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২১ মার্চ বাবুলের মা কলম চাঁন ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ইসমাইলকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু মূলহোতা বাবুলকে এখনো আটক করতে পারেননি পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে ০১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি সদস্য কলম চাঁনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূঁইয়াকে প্রধান করে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ও সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।
কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দখিল করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
টিএ